অনলাইন ডেস্কঃ আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে যাচ্ছেন আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী। উপজেলা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদটিতে তারমতো সৎ, নির্লোভ, নিরহংকার ও স্বচ্ছ রাজনীতিবিদের প্রয়োজন বলে দাবি করছেন স্থানীয় ভোটারগণ।
দেশের রাজনীতির মাঠে কোণঠাসা হয়ে পড়া বিএনপি ও সরকারবিরোধী সমমনা দলগুলো এবার সদ্যসমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জন করবে বলে জানা যাচ্ছে। এ কারনে উপজেলা নির্বাচনে ভোট লড়াই হবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে।
ইতোমধ্যে নুরুল আবছার চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হচ্ছেন এমন খবর গণমাধ্যমে চাউর হয়েছে। তার পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থীতায় রয়েছে আরও ছয়জনের নাম। তারা হলেন- জেলা আ. লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক গোলাম ফারুক ডলার, যুগ্ম সা. সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ লিটন, কার্যনির্বাহী সদস্য ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, সাতকানিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেঁওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু সালেহ।
আরও পড়ুন মার্চে হতে পারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
তবে এসব প্রার্থীর মধ্যে নুরুল আবছার চৌধুরীকেই ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। এ প্রসঙ্গে আলাপকালে উপজেলার একাধিক প্রবীণ রাজনীতিবিদ চাটগাঁর সংবাদকে বলেন, ‘জরিপ কিংবা মতামতের ভিত্তিতে বলতে হলে; ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসাবে নুরুল আবছার চৌধুরীকে এগিয়ে রাখতে হবে। তার মতো শিক্ষানুরাগী, জনদরদী নেতাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসাবে পেলে এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। তাছাড়া সুষ্ঠু ভোট হলে তিনি যে নির্বাচনে বিজয়ী হবেন সে ধারনাতেও কেউ দ্বিমত করবেন বলে মনে হয় না।’
প্রসঙ্গত, নুরুল আবছার চৌধুরী বর্তমানে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং চাটগাঁর সংবাদ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজনীতি বিজ্ঞানে অনার্সসহ মাস্টার্স করেছেন। ১৯৮২ সালে তিনি দেশ ও মানুষের সেবার ব্রত নিয়ে ছাত্ররাজনীতি শুরু করেন। সাতকানিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ও সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, উপজেলা সমাজকল্যাণ ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন।
দীর্ঘ রাজনীতির জীবনে তিনি পদ পদবী ব্যবহার করে কোনো অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেননি। এছাড়াও কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি করেননি বলে জনশ্রুতি রয়েছে। সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি থাকালীন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সাতকানিয়ায় ১৯৮৯ সালের ২৩ মার্চ হরতাল-মিছিল থেকে গ্রেপ্তার হয়ে পাঁচ মাস সতের দিন কারাভোগ করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম শহরে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে যাদের নাম লোকমুখে শুনা যায় তাদের মধ্যে তিনি উল্লেখযোগ্য। মানুষের সমস্যা তুলে ধরে উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করতে ২০১২ সাল থেকে চাটগাঁর সংবাদ(chatgarsangbad.net) পত্রিকা প্রকাশ করে আসছে। যা বর্তমানে অনলাইন এবং মাল্টিমিডিয়াতে ও সুনাম অর্জন করেছে। ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত সাতকানিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় হন। সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজে সভাপতি হয়ে কলেজকে ডিগ্রিতে উন্নীতকরণ, মির্জাখীল উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে উন্নীতকরণ,গারাংগিয়া-সোনাকানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের স্থাপন ও পাঠদান অনুমতি আদায় করেন। যার কারণে কলেজের শিক্ষার্থীরা তাকে শিক্ষার ফেরিওয়ালা আখ্যায়িত করেছেন। ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের অবদান এলাকাবাসী অকপটে স্বীকার করেন। ২০০৯ সালে ৩ এপ্রিল থানার ওসি এবং সার্কেল এসপির সহযোগিতায় ডাকাতি প্রতিরোধে সমাবেশ করে ৯ এপ্রিল তিনজন ডাকাত গণপিটুনিতে মারা যাওয়ার পর থেকে এলাকা অনেকাংশে ডাকাতমুক্ত হয়েছে। কিছু অসাধু দুষ্টুচক্র বিভিন্ন সময় নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও অনৈতিক অর্থ আদায় করতে চাইলে তিনি তা প্রতিরোধ করে নিরীহ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেন। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে, সন্ত্রাস-মাদকমুক্ত সমাজ গঠন, বাল্য বিবাহ রোধ, দুস্থ্য মেয়ের বিবাহ, নারী শিক্ষার অগ্রগতি ও নারীর ক্ষমতায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। বিভিন্ন সময় পরিবেশ রক্ষার্থে গাছের চারা, শীতার্তদের শীত বস্ত্র, বন্যার্তদের ত্রাণ, অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, ফ্রি হেলথ ক্যাম্প সহ নানামুখী উদ্যোগের মাধ্যমে আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন তিনি। ২০০৮ সালে পরিবেশ-সামাজিক বনায়ন, ২০১০ সালে সমাজসেবায় শ্রেষ্ঠ সমাজ সেবক, ২০১৩ সালে উপজেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষানুরাগী হিসেবে পুরষ্কৃত হন। সাতকানিয়াকে সুপরিকল্পিতভাবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তর করতে তার মত একজন পরিচ্ছন্ন উপজেলা চেয়ারম্যান অপরিহার্য বলে মনে করছেন জনসাধারণ।
Leave a Reply